নারায়ণগঞ্জে ৩ বছর আগে ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যা
প্রকাশিত : ১০:৫৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১০:৫৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭
নারায়ণগঞ্জে প্রায় তিন বছর আগে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায় তাদের মৃতদেহ। সাত খুনের ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে সারাদেশে। খুনের সঙ্গে র্যাব কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় আইনের আওতায় আনা হয় তাদের। আর ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয় মূল আসামী নূর হোসেনকে।
আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নায়ারণগঞ্জ লিঙ্করোড থেকে ২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। পরে শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায় তাদের মৃতদেহ।
২০১৫ সালের ৮ই এপ্রিল আলোচিত এই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। সাক্ষীদের বিবরণ আর আসামীদের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে র্যাবের কয়েক কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য। আর সাত খুনের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া মূল আসামী নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনা হয় ওই বছরের নভেম্বরে।
এই হত্যা মামলায় ৩৫ আসামীর মধ্যে ১২ জন পলাতক, আর ২৩ জন জেলহাজতে রয়েছে। মামলার আসামীদের মধ্যে চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, চাকরিচ্যুত মেজর আরিফ হোসেন এবং চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা সহ ২৫ জনই র্যাব সদস্য। বাকী ১০ জন হলেন নূর হোসেন ও তার সহযোগী।
দীর্ঘ আড়াই বছর বিচারকাজ শেষে গত নভেম্বরে রায়ের তারিখ ধার্য্য করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
আরও পড়ুন